জাতে উঠতে ধর্ম ছাইড়া হইলাম মুনাফেক,
ওঠার পরে শুনি লালন কয়-
জাত-পাত সব ফেক!
নজরুল নামের এক হারামজাদা
আমারে কয় বজ্জাত!
একবার হাতের কাছে পাই শালারে,
ঘুসিয়ে ফেলবো সব দাঁত।
জাতের কবি জীবন বাবু,
শুধালাম তারে দাদা –
জাতের কোনও মন্ত্র দাও না!
সে’ও দেখি উল্টো পথে-
আমারে কয় জাত! সে আবার কী রে গাধা!
এখন মান-সম্মান বাঁচাতে পারেন –
কেবলই কবি গুরু,
গুরুও বলেন- জাতে উঠতে চাস! কেমন মগজ রে তোর!
মানুষ নাকি গরু?
উপয়ান্তর না পেয়ে রওয়ানা দিলাম-
কপোতাক্ষের পাড়ে,
এখন আমাকে একমাত্র মধু বাবুই
সঠিক দিশা দিতে পারে।
পাশে বসাইয়া বাবু মাথায় রাখিয়া হাত,
কহিলেন- বাপু, ভুলিয়া যাও সব মিথ্যা জাত-পাত।
মেথর কি কুলি, হও না নাপিত-ধোপা,
তাতে কিছু যায় আসে না রে বোকা।
আপনারে তুমি ছুঁয়েই দেখো না-
আপন হাত দিয়া,
নাম কী তোমার জিজ্ঞেস করে দেখো,
তোমার নামই উত্তর দিবে হিয়া।