ꠎꠄ ꠇꠟ꠬ꠟꠣꠘ

এক গ্রামের মাঠে প্রায়ই খেলতে যাওয়া শিশুদের লাশ পাওয়া যাচ্ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেলো মাঠ সংলগ্ন একটি গাছের ফল খেয়ে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে বাচ্চারা।
দেখতে সুন্দর হওয়ায় সুস্বাদু ফল ভেবে শিশুরা তা খেয়ে মারা যাচ্ছে, গ্রামের মুরব্বিরা সিদ্ধান্ত নিলো গাছটাতে পাহারা দেয়ার, যাতে ওর ফল কেউ খেতে না পারে। এর জন্য বেশ কয়েকটা টিমও করা হলো, তারপর সেই টিম ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, ফাঁকিবাজি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতেও আবার আরেকটা টিম বানানো হলো। ফাঁকিবাজদের বিচার কাজ করতে আবার সালিশও বানানো হলো।
এতো কিছুর পরও দু দিন পরপর শিশুদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে, পাহারাদারদের খোঁজ করা হচ্ছে, তদারকি টিমের নেতা পদত্যাগ করছে, শালিশে জরিমানার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুরু থেকেই একদল যুবক এসবের বিরোধী ছিল, তারা চাইছিলো গাছটাকেই উপড়ে ফেলতে, কিন্তু গাঁয়ের মোড়ল তাতে রাজী নন। মোড়লের চ্যালারাও চায় গাছটা টিকে থাক, এই গাছ যতদিন টিকবে ততদিনই তো ইনকাম। তাই মোড়ল ঘোষণা দিলেন, যারা এই গাছ উপড়ে ফেলার পক্ষে, তারা সবাই গ্রামের শত্রু, গ্রামবাসীর শত্রু। এরা গ্রামের মঙ্গল চায় না, সৌন্দর্য চায় না। তাদের জন্য বানানো হলো খোঁয়াড়, জরিমানার ব্যবস্থা।
আর এভাবেই মোড়লও বিষাক্ত গাছের মত শেকড় গেঁড়ে বসলো, দু’দিন পরপর মাঠের পাশে পাওয়া যাচ্ছিল নিষ্পাপ শিশু ও প্রতিবাদী যুবকের লাশ।
গ্রামের মানুষেরা এখন মোড়ল ও গাছের শেকড় উপড়ে ফেলার জন্য একটা ঝড়ের অপেক্ষায়, তারা জানে ঝড় আসবেই; শুধু জানে না কবে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *