ꠎꠄ ꠇꠟ꠬ꠟꠣꠘ

মাত্র জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়ে উঠেছি, সব কিছু ওলোট-পালোট; সারাক্ষনই ডিপ্রেশনে থাকি।
নতুন জায়গা, যতটা সম্ভব বন্ধু-বান্ধব জোটাইলাম খুব দ্রুত, যতক্ষন বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে থাকি ততক্ষন ভাল থাকি।
পুরোটাই পর নির্ভরশীল, একদিন ৩ জনের আড্ডায় আমাকে প্রচন্ড তাচ্ছিল্য করে বাকী দুইজন কোথাও যাচ্ছিল, আমি ওদের পিছু পিছু দৌঁড়ালাম। ছোট শিশুরা যেমন মায়ের পিছু পিছু দৌড়ায়।
 
রাস্তায় দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে কান্না করলাম, সে রাতে শুয়ে শুয়ে নিজেকে অনেকগুলা প্রশ্ন করলাম।
কে আমি? আমার ক্ষমতা কতটুকু? কোথায় আমি যাচ্ছি? কোথায় যাওয়া উচিৎ?
 
আমি আমার পরিচয় পেয়ে গেলাম, নিজেকে চিনলাম। তারপরই সব কিছুতেই পরিবর্তন আসতে শুরু করলো, আমার মাথা থেকে ডিপ্রেশন নামক ঐ আজব জিনিসটা কর্পুরের মত হাওয়া হয়ে গেল।
 
যত বড় সমস্যাই আসুক, মস্তিষ্ক সেটাকে ফিল্টার করে কৌতুক বানিয়ে ফেলে, আমি আপন মনে হেসে উঠি।
 
আজকের আমি নিজেকে চিনি, এই চিনতে পারার জন্য একটা উপলক্ষ্য দরকার ছিল, সেদিনের ঘটনাটা ছিল সেই উপলক্ষ্য মাত্র।
 
আমি সেদিনের সেই দুই বন্ধুর কাছে চির কৃতজ্ঞ, তারা সেদিন পথ না দেখালে হয়তো আমি নিজেেকে চিনতে পারতাম না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *