ꠎꠄ ꠇꠟ꠬ꠟꠣꠘ

প্রিয়তমেশু হবু ডাক্তার ঝর্ণা,

অনেক বছর হলো তোর সাথে যোগাযোগ নেই, যতবার তোর সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছি ততবারই তোর ব্যস্ততার জন্য যোগাযোগ সফল হয় নি।
আমি জানি তোর খুব ইচ্ছে ডাক্তার হওয়ার, সাথে আরও জানি সে ইচ্ছে তোর নিজের না; অন্যের ইচ্ছে বয়ে বেড়াচ্ছিস রোজ।
জানি, বড় কিছু পেতে হলে আমার মত এক অধমকে ভুলে যাওয়া আবশ্যক, বড় ডাক্তার হতে এই অধম ছাড়াও আরও অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়, অথচ দেখ আমি কিছুই ত্যাগ না করেও কত সুখি। আরও বছর চারেক পরে তুই যখন ডাক্তার হ’বি তখন কি সময় হবে? নাহ, তখনও তুই ব্যস্তই থাকবি।

আমাকে দেয়ার মত সময় তোর কোনদিনও হবে না, আমাকে দেয়ার মতও কিছু তোর থাকবে না কোন দিন, তবু আমি তোর প্রতীক্ষায় রই রোজ। কারন আমার রয়েছে অফুরন্ত সময়, আমার বইয়ের ভাজে ভাজে স্বপ্নকে বিক্রয় করতে হয় না, বদ্ধ কোন ঘরের কোনে স্ট্রে ভর্তি করতে হয় না দগ্ধ ছাঁই দিয়ে, রাতের পার্টিতে গা এলিয়ে দিতে হয় না কোন কর্পোরেটের সাথে। আমি রোজ ভোরে উপভোগ করতে পারি সূর্য্যের সোনালী রদ্দুর, রোজ সন্ধ্যায় আড্ডায় কাটিয়ে দিতে পারি এভাবে বছরের পর বছর, রাতের তারাদের সাথে গল্প করে পার করে দেই কত শত চাঁদনী রাত।

জানি এসব তোর জীবনে জুটবে না, সলিল চৌধুরীর গানের শব্দ তোর কানে ঢুকবে না কোনদিন। অথচ কথা ছিলো দু’জনে এক সাথে হুমায়ূনের গল্প পড়বো, নজরুলে কাব্যে জোয়াড় আনবো, ভাষানীর মত লংমার্চ করবো ফারাক্কার প্রতিরোধে।

আজ ওসব অতীত, খুবই আবছা অতীত!

– সাবেক ইঞ্জিনিয়ার জয়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।